রহমত নিউজ 22 November, 2024 09:16 PM
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, হাফেজ্জী হুজুর রহ. নতুন কোন আলোচনা করেননি, নতুন কোন কর্মসূচি প্রণয়ন করেননি। তিনি সেই আলোচনাই পেশ করছিলেন যা সাহাবায়ে কেরাম চর্চা করেছিলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীসে পাকে যা বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তায়ালা ওহীর মাধ্যমে যা নাযিল করেছেন। হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর রাজনীতি ছিল তওবার রাজনীতি। মানুষের ইমান-আমলের হেফাজত, কুরআনের শিক্ষা বাস্তবায়ন, ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মক্তব প্রতিষ্ঠা, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ফিকির, দ্বীনের হেফাজত করার লক্ষ্যে হাফেজ্জী হুজুর খেলাফত আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেকুলার রাজনীতি চলতে থাকলে দেশের জনগণের ইমান নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হবে। সিরাজদিখানের ভাষানচর হাফেজ্জী হুজুরের ঘাঁটি, খেলাফত আন্দোলনের ঘাঁটি। এই এলাকার মানুষের সাথে ছিল হাফেজ্জী হুজুরের অন্তরের সম্পর্ক। হাফেজ্জী হুজুরের মিশন বাস্তবায়নেও সিরাজদিখানবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলাস্থ নতুন ভাষানচর হাজী মার্কেট চত্ত্বরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সিরাজদিখান উপজেলার কমিটি পুনর্গঠন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, ইসলামী শাসন তথা খেলাফত পদ্ধতির সরকার কায়েম হলে জনগণের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। খাদ্য বস্ত্র চিকিৎসা বাসস্থান ও ধর্মীয় অধিকার ফিরে পাবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম অনুসরণ ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে জনগণের দুঃখ দুর্দশা থাকবে না। বিনা অপরাধে জেল জুলুম এর শিকার হবে না।
মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিনা কারণে আলেম-উলামাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হত। বিভিন্ন সময়ে যেসব আলেম সংসদ সদস্য হয়েছেন সরকার নানাভাবে চেষ্টা করেও তাঁদের থেকে কোন দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে গরীব তার হক ফিরে পাবে, সমাজে ইনসাফ কায়েম হবে।
খেলাফত আন্দোলন সিরাজদিখান উপজেলা আহবায়ক হাফেজ মুহাম্মাদ রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মোফাচ্ছির হোসাইন, মুন্সীগঞ্জ জেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ রব্বানী৷
অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, মূফতী সাঈদ আব্দুল্লাহ, মাওলানা কাওসার আহমদ, মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন প্রমূখ।
সম্মেলনে হাফেজ মুহাম্মাদ রমজান আলীকে সভাপতি এবং শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন খোকনকে সেক্রেটারি নির্বাচন করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট সিরাজদিখান উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন জেলা আমীর মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।